গাজা উপত্যকায় শনিবার (৪ জানুয়ারি) ৩০ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যার ফলে কমপক্ষে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেডিক্যাল কর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। খবরটি আল জাজিরা জানিয়েছে।
এদিকে, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পরও ইসরায়েলকে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলা ও বোমাবর্ষণের ফলে গাজায় ৪৫,৬৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও ১,০৮,৫৮৩ জন আহত হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্রসহ অন্যান্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল এবং সেখানে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ অঞ্চলে মানবিক সহায়তাও প্রবাহিত হতে দিচ্ছে না, যার ফলে লাখ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এসব ঘটনার পরেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা না দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ চলছে, তবে ইসরায়েলের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং, গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার অনুমোদন দেয়, যার মধ্যে যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গত ৭ অক্টোবর, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালায়। এর পরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে গাজায় কমপক্ষে ৪৫,৬৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও ১,০৮,৫৮৩ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :