মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সঙ্কট কবলিত দক্ষিণ কোরীয় নেতাদের সঙ্গে সে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এমনকি মার্কিন মিত্র জাপানের সঙ্গে সিউলের সম্পর্কের টানাপোড়েন সত্ত্বেও জাপানকে সিউলে স্থিতিশীলতায় উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।ব্লিঙ্কেন অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদের শেষ দিন তার প্রতিপক্ষের সাথে বৈঠক করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে সম্ভবত এটাই তার শেষ সরকারি সফর।
বৈঠকের আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। চোই মাত্র এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্লিকেনের পাহাড়ের চূড়ার হোটেল থেকে ভোর হওয়ার আগেই কৌতুহলী জনতার প্রতিবাদ শোনা যাচ্ছিল। জনতা তুষারে ঢাকা রাজধানীতে রক্ষণশীল প্রেসিডেন্টের সমর্থনে বা বিরুদ্ধে সমাবেশ করছিল।
মার্কিনপন্থী নীতির কারণে এখনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ইউন সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত সামরিক আইন জারি করে বিশ্বকে হতবাক করে দেন।
রাস্তায় বিক্ষোভ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দলের প্রবল বিক্ষোভে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে দ্রুত পিছিলে গেলেও সঙ্কট কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। আইন প্রণেতারা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টকেও অভিশংসন করেছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইউনের সাথে সাক্ষাত করবেন না তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী চো তাই-ইউলের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :