মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের পঙ্গিয়ুন ও মাইবন টাউনশিপে সামরিক জান্তা বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তিন সদস্য হতাহত হয়েছেন।সূত্রের খবরে জানা গেছে, বিমান হামলার ফলে টাউনশিপ দু’টির স্থানীয় বেসামরিক বাসিন্দাদের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে রাখাইনে সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির মাঝে চলমান যুদ্ধে খাদ্যদ্রব্যসহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদার অভাবে, কোন রুজি রোজগার না থাকায় এবং সার্বক্ষণিক জীবনের ঝুঁকির ফলে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন স্বপরিবারে জলপথে ইয়াংগুণ প্রদেশে চলে যাওয়া শুরু করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
রাখাইনে আরাকান আর্মি দীর্ঘদিন সশস্ত্র যুদ্ধ করে সেনা বিজিপিকে হটিয়ে প্রদেশটির ১৪টি টাউনশিপ দখলে নিয়েছে। মিয়ানমার সামরিক সরকার আরাকান আর্মিকে শায়েস্তা করার জন্য কৌশলে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে গোপন মদদে সহায়তা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। যার ফলে সরকারী বাহিনীর হাত ছাড়া হওয়া বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত এলাকাসহ আরাকান আর্মি এর দখলে থাকা টাউনশীপগুলোতে প্রতিনিয়ত কোনও না কোনওভাবে বিছিন্ন সশস্ত্র সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।
মংডুর দক্ষিণে, রাথিডং ও জেদিপ্রাং এলাকায় গত রোববার (৫ জানুয়ারি) আরাকান আর্মির ওপর রাস্তায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর আক্রমণে চারজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলায় বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশে বসবাসরত নাগরিকদের মাঝে আতংক উৎকন্ঠা বিরাজ করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
মিয়ানমার জান্তা সরকার রাখাইন প্রদেশে হাতছাড়া টাউনশিপগুলোতে আরাকান আর্মির ওপর যে কোন সময় নতুন করে সামরিক অভিযান ও যুদ্ধ বিমান হামলার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়। রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সরকার নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করলে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রভাব বিস্তারসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :