যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের এয়ারলাইনস জেটব্লু একটি উড়োজাহাজের চাকার খোপে দুইটি মরদেহ পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ফোর্ট লডারডেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। উড়োজাহাজটি ৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাতে বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর নিয়মিত পরীক্ষার সময় কর্মীরা এর চাকার খোপের মধ্যে দুটি মরদেহ দেখতে পান।
জেটব্লু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে বলা হয় যে মরদেহ দুটি বিমানের অবতরণের পর পর্যবেক্ষণ করা হয়।
জেটব্লু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং তদন্তের মাধ্যমে ওই দুই ব্যক্তি কীভাবে প্লেনের চাকার খোপে ঢুকেছিলেন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা এবং কীভাবে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো, তা উদ্ঘাটন করার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং সব ধরনের সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্লেনটি সোমবার রাতে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসে এবং ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত ১১টার দিকে অবতরণ করে। দুইটি মরদেহ পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে দুইজনই পুরুষ এবং তাদের দেহ পচে-গলে গেছে, বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তারা।
এখন বিষয়টি তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ, এবং মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
হুইল ওয়েল বা কার্গো হোল্ডের মতো উড়োজাহাজের চাপহীন স্থানে লুকিয়ে থাকলে জীবিত থাকা খুবই কঠিন। এমন স্থানে তাপমাত্রা -৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে -৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে নেমে যেতে পারে, যা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এছাড়া, অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়ার কারণে বেশির ভাগ মানুষ সেখানে বেঁচে থাকতে সক্ষম হন না।
সূত্র: বিবিসি
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :