জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়া সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে এশিয়ান প্রতিবেশীরা সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকেশি ইওয়ায়া রাজধানী সিউলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চো তাই-ইউলের সাথে আলোচনা করবেন। ছয় বছরেরও বেশি সময়ে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে টোকিওর শীর্ষ কূটনীতিকের এটিই প্রথম বৈঠক।গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইওয়ায়া ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোকের সাথেও দেখা করবেন।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগে আলোচনায় পারস্পরিক মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই তিন দেশ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের তথ্য আদান-প্রদানসহ নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করেছে।
পিয়ংইয়ং জানায়, তারা গত সপ্তাহে সর্বশেষ একটি পরীক্ষায় নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, ঠিক সেই দিনই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সিউল সফর করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দেশটির স্থিতিশীলতার বিষয়ে মিত্রদের আশ্বস্ত করার চেষ্টাকালে সিউল-টোকিওর মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ব্যর্থ সামরিক আইন জারির প্রস্তাব এবং অভিশংসনের পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রাণবন্ত পূর্ব এশিয়ার গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা গত মাসে বলেন, টোকিও ব্যতিক্রমী ও গুরুতর উদ্বেগ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।নিপ্পন স্টিলের ইউএস স্টিল অধিগ্রহণকে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে মার্কিন-জাপানি সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে, বাইডেন এই মাসে ১৪.৯ বিলিয়ন ডলারের বিক্রয়কে বাধা দিয়েছেন এবং ইশিবা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে "প্রচন্ড" উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি এবং প্রভাব মোকাবেলায় আইওয়া টোকিও থেকে মঙ্গলবার ফিলিপাইনে যাবেন, কারণ টোকিও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সাথে তার কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করতে চাইছে।
জাপান ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের নতুন ও বৃহত্তম জাহাজ তৈরি করছে, যা দক্ষিণ চীন সাগরে তার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ম্যানিলার প্রচেষ্টার একটি মূল উপাদান। দক্ষিণ চীন সাগরকে বেইজিং প্রায় সম্পূর্ণরূপে দাবি করে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :