ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বাগদাদকে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ‘নতুন যুগের’ সুচনা করতে মঙ্গলবার ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানীর সঙ্গে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।ব্রিটেন সফরকালে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাক আগ্রাসনে ব্রিটেনের অংশ নেওয়ার প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময় পর কোনো ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম ব্রিটেন সফর। লন্ডন থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
সুদানি ব্রিটেন যাত্রার প্রাক্কালে বাগদাদ বিমানবন্দরে বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, ‘সফরকালে ইরাক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তি সই হবে যা দুই দেশের সহযোগিতাকে সুসংহত করবে এবং ‘ইরাক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।’
স্টারমারের ডাউনিং স্ট্রিট অফিস জানিয়েছে, এই সফরে ইরাকি অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
ডাউনিং স্ট্রিট আরো জানায়, দুই নেতা ব্রিটিশ ব্যবসার সুযোগ জোরদারের লক্ষ্যে ১৫ বিলিয়ন রপ্তানি প্যাকেজও উন্মোচন করবেন। বৈধ এবং অবৈধ অভিবাসীর বিষয়টি ব্রিটেনের নির্বাচনের সময় প্রধান ইস্যূ ছিল, যার ফলে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসতে পেরেছে কিন্তু নাইজেল ফারাজের কঠোর-ডান সংস্কার ইউকে পার্টির জন্য সাফল্যও এনেছিল।
স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সুরক্ষিত সীমান্তগুলো পরিবর্তনের জন্য আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তাই আমি আমাদের দেশগুলোর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট রিটার্ন চুক্তির জন্য অঅলোচনা শুরু করতে পেরে আমি খুব খুশী’।
‘এই চুক্তিটি মানব পাচারকারীদের জন্য স্পষ্ট বার্তা যে, এতে তাদের ব্যবসায়িক মডেল ভেঙ্গে দিতে সাহায্য করবে এবং আপনি যদি অবৈধভাবে এখানে আসেন, তবে আপনি থাকার আশা করতে পারবেন না।’
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার গত নভেম্বরে ইরাক এবং স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান সফরের পর বলেছেন দুই দেশ ইরাকের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি এবং অন্যান্য সহযোগিতা চুক্তি করেছে যাতে মানব পাচারকারী দলকে টার্গেট এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা যায়।
তিনি বলেছেন, ‘ইরাকের সাথে আমাদের প্রথম নিরাপত্তা চুক্তির প্রভাব বিশ্ব ইতোমধ্যে দেখছে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :