আমেরিকা ও ভারত দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভারতীয় টেলিভিশন উইঅন নিউজকে (ওয়ার্ল্ড ইন ওয়ান নিউজ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। এটি বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সহায়তা করবে।’
সাক্ষাৎকারে উইঅন নিউজের ভিডিও জার্নালিস্ট ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ সময়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে এবং চীনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাও বাড়ছে। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা উভয়েই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের পক্ষে কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একক নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।’
ওয়ার্ল্ড ইন ওয়ান নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশ—ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনই নির্যাতনের শিকার না হন।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটি ধারণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।
তবে তার ঘোষিত সময় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে অসন্তোষ রয়েছে। দলটির নেতারা আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :