১৫ মাসের ভয়াবহ সংঘাতের পর হামাসের ও ইসরাল সংঘাতের অবসান হতে যাচ্ছে। ভয়াবহ এই সংঘাতে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে। খবর সিএনএনের।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামী রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ। এখন পূর্ণ মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন তিনি। তবে চুক্তিটি ইসরায়েলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি যদি শেষ পর্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়, তাহলে তা চরম বিভীষিকার মধ্যে থাকা গাজাবাসীর জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবে। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীলতাও কমে আসতে পারে। গাজা যুদ্ধ ঘিরেই লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকে হিজবুল্লাহ ও হুতির মতো ইরানপন্থি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ইসরায়েল।
গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা সহিংসতার শুরুর দিকে একবার মাত্র অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এরপর যুদ্ধবিরতির জন্য দফায় দফায় আলোচনা হয়। তবে আশার আলো দেখা যায়নি। সম্প্রতি চুক্তির জন্য জোর তৎপরতার মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। তবে এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন ইরায়েলের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার ভোট বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে হামাস চুক্তির কয়েকটি শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তা এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়।
একুশে সংবা//বা.ট্রি//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :