গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তুপে পরিণত ভবনের নিচ থেকে প্রায় ২শ’ ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কাতারের আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল এই খবর জানিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকায় ৫ হাজার নারী ও শিশুসহ ১৪ হাজার ২শ’ মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
গাজা সীমান্তের কাছে গত বছরের ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের ভিতরে অনুপ্রবেশ করে ইসরাইলের কিব্বুতজ এলাকার বাসিন্দাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বেশ কিছু ইসরাইলি বাসিন্দাকে হত্যা করে এবং নারী-পুরুষ ও বয়োবৃদ্ধসহ প্রায় ২শ’ ৪০ জনকে অপহরণ করার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাইল গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় এবং উপত্যকায় বোমাবর্ষণ শুরু করেছে।
গত ১৫ জানুয়ারি মধ্যস্থতাকারীরা ঘোষণা দিয়েছিলো যে, ইসরাইল ও হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। উভয় পক্ষ বন্দি বিনিময়ও করেছে। হামাস যোদ্ধারা তিন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে ইসরাইলও ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দফায় ৪২ দিনে হামাস ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে ইসরাইল কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিবে। গত ১৯ জানুয়ারি রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়।
দুবাই থেকে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস এই খবর জানায়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :