উত্তর কোরিয়া সমুদ্র থেকে স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম স্ট্র্যাটেজিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালিয়েছে।রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ`র বরাত দিয়ে সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে `সঠিকভাবে` আঘাত হেনেছে।উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শনিবারের পরীক্ষার সময় বলেছেন, `ডিপিআরকে`র সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও উন্নত হচ্ছে।`
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১,৫০০ কিলোমিটার (৯৩০ মাইল) দূর পাল্লায় এলিপটিক এবং অষ্টকোণাকার গতিতে চলতে চলতে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। তবে এতে প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তার ওপর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানানো হয়েছে। কেসিএনএ পরীক্ষার স্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর প্রথম। তার শপথ গ্রহণের আগে, উত্তর কোরিয়া কয়েকটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে কিম জং উনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিলেন। বৃহস্পতিবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি আবার কিমের সাথে যোগাযোগ করবেন। তিনি তাকে `স্মার্ট` হিসেবে অভিহিত করেন।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৫০-৫৩ সালের যুদ্ধে সাঁইত্রিশ বছর ধরে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে প্রযুক্তিগতভাবে এখনও যুদ্ধরত রয়েছে, কিন্তু কোনো শান্তি চুক্তি হয়নি।
উত্তর কোরিয়া ও সিউলের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। উত্তর কোরিয়া গত বছর একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে।
কেসিএনএ রোববার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যেখানে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও সিউল সরকারের যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনার সমালোচনা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, `এটা পরিষ্কার যে, যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ ডিপিআরকে’র সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্বার্থকে প্রত্যাখ্যান করবে, ততক্ষণ ডিপিআরকে এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।`
এই ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া নিয়মিতভাবে উত্তর কোরিয়াকে ক্ষুব্ধ করে। তারা এ ধরনের মহড়াকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখে থাকে।
অক্টোবরের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়া তাদের সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী সলিড-ফুয়েল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায়। এর কয়েক দিন পর স্বল্প পাল্লার বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া অক্টোবর থেকে ইউক্রেনে হাজার হাজার সেনা পাঠাতে শুরু করেছে এবং এ পর্যন্ত শত শত প্রাণহানি হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত করেনি যে পিয়ংইয়ংয়ের বাহিনী মস্কোর পক্ষে যুদ্ধ করছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :