মালয়েশিয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক যেকোনো পুনর্বাসনের পরিকল্পনার ‘তীব্র বিরোধিতা’ করে। কুয়ালালামপুর থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা দখলের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক অভিনব প্রস্তাব পেশ করার পর দেশটি এই প্রতিবাদ জানায়। এই ধরনের প্রস্তাবকে অমানবিক, জাতিগত নির্মূলের শামিল এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মালয়েশিয়া এমন যেকোনো প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে যা ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমি থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করতে পারে।‘
ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করবে এবং এটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে পরিণত করবে, তবে কীভাবে প্রায় দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে এই ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একতরফা এবং বলপ্রয়োগে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে উপেক্ষা করে এবং তাদের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এমন সমাধান চাপিয়ে দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা অগ্রহণযোগ্য, অযৌক্তিক এবং এই অঞ্চলের দীর্ঘতম সংঘাতগুলো মধ্যে একটিকে আরও গভীর করবে।’
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ার ইসরাইলের সাথে কোনো প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির অনেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনির হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের বিরোধিতা করে আসছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তার সরকার গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে ১০.১৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :