ফিলিস্তিনের গাজায় গত মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা হত্যাযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটেছে। তবে এরপরও লাশের মিছিল শেষ হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। এরই অংশ হিসেবে সবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৬ লাশ। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছে গেছে।
অন্যদিকে, গাজার রাফায় ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। একইসঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ পরিচালিত তিনটি স্কুলেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৯১ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এছাড়া আরও ১৩ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭২২ জনে পৌঁছৈছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফাতে আরও দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ পরিচালিত তিনটি স্কুলের পাশাপাশি একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের জন্য আলোচনা এই সপ্তাহে হবে। এছাড়া হামাস বৃহস্পতিবার চার বন্দির মৃতদেহ হস্তান্তর করতে এবং শনিবার আরও ছয় জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাসের আগ্রাসনের পর ১৯ জানুয়ারি বহুল কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায়। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :