ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মেয়েটির নাম ইকরা। শরীরে একাধিক আঘাত নিয়ে গত বুধবার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে উঠে এসেছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে। রাওয়ালপিন্ডির এ ঘটনা পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে জাস্টিস ফর ইকরা (#JusticeforIqra) হ্যাশট্যাগে। পাশাপাশি, দেশটিতে শিশু শ্রম এবং গৃহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়েও নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বিবিসি বলছে, স্থানভেদে শিশুশ্রম সংক্রান্ত আইনে ভিন্নতা রয়েছে। তবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ না করার বিধান রয়েছে। শিশু ইকরার বাবা সানা উল্লাহ (৪৫) বিবিসিকে বলেন, তার মৃত্যুর পর আমি ভেতর থেকে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছি।
তিনি জানান, গত বুধবার পুলিশ ফোন করে তাকে ইকরার খবর দিয়েছিল। দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান, ইকরা অজ্ঞান হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। এর কয়েক মিনিট পরই শিশুটি মারা যায়।
প্রতিবেদন মতে, আট বছর বয়স থেকে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করে ইকরা। তার বাবা একজন কৃষক। ঋণগ্রস্ত থাকার কারণেই মেয়েকে কাজে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন সানা উল্লাহ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইকরার বিরুদ্ধে চকলেট চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ইকরাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। এছাড়া বিবিসির হাতে আসা ছবি এবং ভিডিওতে, ইকরার হাত-পায়ে একাধিক ফ্র্যাকচার দেখা গেছে। পাশাপাশি তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। পুলিশ বিবিসিকে বলেছে, ময়নাতদন্ত চলছে এবং তারা এখনও চূড়ান্ত মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
এদিকে, মর্মান্তিক এ ঘটনায় শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :