সামরিক আইন জারির চেষ্টার শুনানি বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত নেতা ইউন সুক ইয়ুল দেশের প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। সিউল থেকে এএফপি এখবর জানায়।বিদ্রোহের অভিযোগে গত মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ৬৪ বছর বয়সী এই প্রাক্তন প্রসিকিউটর বর্তমানে কারাগারে আছেন। এই মামলায় তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।
এএফপির একজন প্রতিবেদক জানান, সিউলের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা (০১০০ জিএমটি) ফৌজদারি মামলাটির শুনানী শুরু হয়েছে।
ইয়ুন উপস্থিত থাকায় আদালত কক্ষ ছিল লোকে-লোকারণ্য এবং আদালত ভবনের চারপাশে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বরখাস্তকৃত প্রেসিডেন্টকে "বিদ্রোহের মূল হোতা" হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।কিন্তু তার আইনজীবীরা জোর দিয়ে বলেছেন, তদন্তের শুরু থেকেই বৈধতার অভাব রয়েছে এবং রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সামরিক আইন ঘোষণা করার ক্ষমতা তার হাতে থাকায় তারা অভিযোগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
ইউনের আইনজীবী কিম হং-ইল এই বিচারকে "সাংবিধানিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা" হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি আদালতকে সতর্ক করে বলেন, বিচার বিভাগকে স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, তিনি এমন একটি বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করছেন যেখানে অবৈধতা মিশ্রিত করে অবৈধতার যৌগ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আদালতকে বিবাদীর অধিকার যাতে অন্যায়ভাবে লঙ্ঘিত না হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। অপর দিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালতে ডিসেম্বরে সংসদ কর্তৃক অভিশংসনের পর ইউনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে কিনা তা নিয়ে শুনানী চলছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :