লেবাননের হিজবুল্লাহর সাবেক মহাসচিব শহীদ হাসান নাসরুল্লাহর জানাজায় অংশ নিতে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একটি বিরাট অংশ রাজধানী বৈরুতে জড়ো হয়েছেন। আগামীকাল রোববার স্থানীয় সময় দুপুর একটায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের বর্বর বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করার পর সামাজিক মাধ্যমে নেমে আসা শোকের ছায়া লেবাননের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরাইলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকার ছয়টি আবাসিক ভবনকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে শহীদ হন হাসান নাসরুল্লাহ। হামলার পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর বৈরুতের বিমানবন্দর এবং রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। তাদের অনেকেই হিজবুল্লাহর পতাকা ওড়াচ্ছেন এবং নাসরুল্লাহর ছবি বহন করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মীরা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা লেবাননের রাজধানীতে আসার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ছবি দিয়ে ভরে রেখেছে। রোববারের জানাজা উপলক্ষে বৈরুতে আসা লোকজনের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ম্যান্ডলা ম্যান্ডেলা, মর্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার জ্যাকসন হিঙ্কেল, ব্রাজিলের সাংবাদিক ও ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক পেপে এসকোবার, এক্স ব্যবহারকারী অ্যাক্টিভিস্ট সারাহ, নো পিস উইদাউট জাস্টিসের সভাপতি টারা রেইনর ও’গ্র্যাডিসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। তারা সবাই হাসান নাসরুল্লাহর শাহাদাতের স্থানে ছবি তুলছেন আবার অনেকেই বৈরুতে ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিচ্ছেন।
২০০৬ সালে ইসরাইলের সাথে যুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহর পক্ষে নেতৃত্ব দানকারী হিসেবে পরিচিত নাসরুল্লাহ প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তার সমর্থকরা তার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :