কলকাতার কুমারটুলি ঘাটে মহিলার ট্রলিব্যাগ বন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে সুমিতা ঘোষ নামে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে মধ্যমগ্রাম স্টেশন লাগোয়া বীরেশপল্লির একটি ভাড়াবাড়িতে। তার পর দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে লোপাট করার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরোয় অভিযুক্ত ফাল্গুনী গুহ ও তাঁর মা আরতি গুহ। জেরায় ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে কী ভাবে সুমিতাদেবীকে খুন করেছে তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত সুমিতাদেবী অভিযুক্ত ফাল্গুনী দেবীর পিসিশাশুড়ি। দিন পনেরো আগে ফাল্গুনীর বাড়িতে আসেন সুমিতা। তার আগে প্রায় সাড়ে তিন বছর অন্যত্র থাকতেন তিনি।
জেরায় ফাল্গুনী পুলিশকে জানিয়েছে, কোনও বিষয়ে সুমিতাদেবীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়া চলাকালীন সুমিতাকে ধাক্কা দেন তিনি। ধাক্কা দেওয়ায় দেওয়ালে মাথা ঠুকে যায় সুমিতার। এর জেরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পর সংজ্ঞা ফিরলে তাঁর ওপর হামলা চালান সুমিতা। তখন ইঁট দিয়ে থেঁতলে মহিলাকে খুন করেন তিনি। এর পর মধ্যমগ্রাম স্টেশন রোডের একটি দোকান থেকে বড় ট্রলি ব্যাগ কেনেন তিনি ও তাঁর মা আরতি ঘোষ। ট্রলিব্যাগে ভরেন সুমিতার দেহ। সেই দেহ ট্যাক্সি করে নিয়ে যান বারাসতের কাজিপাড়া স্টেশনে। সেখান থেকে ট্রেনে করে পৌঁছন পার্ক সার্কাসে। পার্ক সার্কাস থেকে ফের ট্যাক্সি করে পৌঁছয় কুমারটুলি ঘাটে।
ওদিকে সুমিতাদেবী গত সাড়ে তিন বছর ধরে যাদের সঙ্গে থাকতেন তারা জানিয়েছেন, ১৫ দিন আগে মনোমালিন্য করে ঘর ছাড়েন তিনি। তার পর একাধিকবার ফোন করলেও ফোন ধরেননি সুমিতা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :