চিলির লাখ লাখ মানুষ মঙ্গলবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পড়লে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিকালের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে যাওয়া ওই বিদ্যুৎবিভ্রাট ছিল এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। দক্ষিণ গোলার্ধের গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হিসেবে সরকার সিস্টেমের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে। সান্তিয়াগো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
সেনাপ্রেড দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা জানায়, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরে দীর্ঘ, সংকীর্ণ দেশটির আরিকা থেকে দক্ষিণে লস লাগোস পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এলাকাটি ২ কোটি জনসংখ্যার দেশ চিলির ৯০ শতাংশেরও বেশি লোকের বাসস্থান।এই বিদ্যুৎবিভ্রাটে সান্তিয়াগো মেট্রো বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন ২৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনকারী মেট্রো কোম্পানি জানিয়েছে, ‘নিরাপদ স্থানান্তরে সহায়তা করার জন্য’ সমস্ত স্টেশনে কর্মী মোতায়েন করা হয়।
ট্র্যাফিক লাইট বন্ধ থাকায়, পরিবহনে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।রাজধানীর কিছু বাসিন্দাকে তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য প্রচণ্ড রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে যেতে হয়। দোকানপাট এবং অফিসগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য হেলিকপ্টারে করে রাজধানীতে যান।
সম্প্রচারক চিলিভিশন সান্তিয়াগোর একটি বিনোদন পার্কে কয়েক মিটার উঁচু যান্ত্রিক রাইডে আটকা পড়া লোকদের উদ্ধারের ভিডিও দেখিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম লিফটে আটকা পড়া লোকদের খবর জানায়।উপকূলীয় শহর ভালপারাইসোতে, প্রত্যক্ষদর্শীরা দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ার এবং যানজটে বিশৃঙ্খলার খবর জানায়।
দেশের হাসপাতাল ব্যবস্থা এবং কারাগারগুলো জরুরি জেনারেটরে কাজ করছে। মঙ্গলবারের সর্বশেষ বিভ্রাট সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা ‘এটিকে আক্রমণ বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই’ উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিস্টেমের কার্যকারিতায় ব্যর্থতার’ সম্ভাবনা বেশি।
দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সেরা বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের দেশ চিলি। দেশটিতে প্রায় ১৫ বছরের মধ্যে এত বড় ব্ল্যাকআউট আর হয়নি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :