জাপান শনিবার তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটি বেশ কয়েকটি দাবানলের মধ্যে একটি। দাবানলের কারণে একজন নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাপানের টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
অগ্নিনির্বাপণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার আগুন লাগার পর থেকে ইওয়াতে অঞ্চলের উত্তরাঞ্চলের ওফুনাতো বনে প্রায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমি জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংস্থার এক মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, আমরা এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আকার পরীক্ষা করছি। তবে হোক্কাইডোর কুশিরোতে ১৯৯২ সালের দাবানলের পর এটিই সবচেয়ে বড় দাবানল।
সেই আগুনে ১,০৩০ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে, যা পূর্ববর্তী রেকর্ড।সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশজুড়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ অগ্নিনির্বাপক কর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে।পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে-এর আকাশ থেকে তোলা এক ফুটেজে সাদা ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে এবং পুরো পাহাড় ঢেকে গেছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় পুলিশ একজনের পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করেছে জানা গেছে। ওফুনাতো পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত আশেপাশের ১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ৮০ টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
শনিবারও আরো দুটি স্থানে আগুন জ্বলছিল, একটি ইয়ামানাশিতে এবং অন্যটি ইওয়াতেতে। ২০২৩ সালে জাপান জুড়ে প্রায় ১ হাজার ৩০০টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছিল। যা ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঘনীভূত হয়েছিল। সরকারি তথ্য অনুসারে, ১৯৭০-এর দশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর থেকে দাবানলের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
ওফুনাতোতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড সর্বনিম্ন ৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের চেয়ে অনেক কম।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :