সামরিক সহায়তার পর ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তা বুধবার (৫ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাক বিতণ্ডার পর গত সোমবার দেশটিকে সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে তাদের সেনা ও সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাতে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ইউক্রেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মিত্র দেশগুলোকেও ইউক্রেনকে নিজেদের গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে হয়ত সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্র অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করবে। কিন্তু এটি গুরুত্বপূর্ণ ও সঠিক সময়ের গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। অর্থাৎ রুশ বাহিনীর চলাচলের কোনো তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইউক্রেন আর পাবে না।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। এরআগেও জেলেনস্কিকে স্বৈরাচার হিসেবে অভিহিত করে সম্পর্ক খারাপ করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সেটি ঠিক হতে যাচ্ছিল। এমন সময় দুজনের মধ্যে সরাসরি বাক বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন জেলেনস্কি। সেখানে ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করার ঘোষণা দেন তিনি। তার ওই পোস্টে সুর নরমের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এছাড়া ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠান জেলেনস্কি। এতে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোনো মুহূর্তে খনিজ চুক্তি করতে রাজি আছেন তিনি। এই চুক্তি হলে ইউক্রেনের বিরল খনিজ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও বিক্রি করে লাভ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :