এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে যাদের হামাস সমর্থক হিসেবে মনে করা হবে, তারা এর আওতায় পড়ে যাবে। এই খবরটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসে প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ আলাদা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। তার বিরুদ্ধে `হামাস সমর্থক বিপর্যয় বা অনুষ্ঠানে` অংশগ্রহণকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ছিল ভিসা বাতিলের প্রথম কোনো পদক্ষেপ, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, বিচার বিভাগ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ সঙ্গে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর গ্লোবাল সাউথ ওয়ার্ল্ডের।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য করেনি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদী সমর্থকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) কার্যকর রয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, `যুক্তরাষ্ট্রের আইন ভঙ্গকারী আন্তর্জাতিক/বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলকরণসহ তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।সংশ্লিষ্ট অন্য দুটি বিভাগ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে একটি নির্বাহী আদেশে অ্যান্টিসেমিটিজম মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পক্ষে চলমান ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের মার্কিন ভূখণ্ড থেকে বহিষ্কার করবেন।
এআই-সমর্থিত `ক্যাচ অ্যান্ড রিভোক` পরিকল্পনা অনুযায়ী, হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং ভিসাধারীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের এআই-সহায়ক পর্যালোচনা করা হবে।
অ্যাক্সিওস আরও জানিয়েছে, কর্মকর্তারা ইসরায়েলের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ইহুদি শিক্ষার্থীদের মামলা দেখে যাচাই করছেন, যেখানে বিদেশি নাগরিকরা অ্যান্টিসেমিটিজমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :