ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস শনিবার `অনিশ্চিত সময়ে` ঐক্যের ডাক দিয়ে ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক পদক্ষেপের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। লন্ডন থেকে এএফপি এ খবর জানায়। রাশিয়ার হামলার তিন বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করায় ব্রিটেন ও ইউরোপীয় দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য লড়াই করছে।
ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধানের ভূমিকা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ। কিন্তু সম্প্রতি চার্লস তার ব্যক্তিগত প্রাসাদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আতিথ্য দিয়েছেন এবং তিনি ট্রাম্পকেও দ্বিতীয় ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সোমবার, চার্লস কমনওয়েলথ দিবসে এক বার্তা দেবেন। বেশিরভাগ সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত ৫৬-জাতির আন্তর্জাতিক সংস্থাটি দিবসটিকে উদযাপন করবে। শনিবার রাতে প্রকাশিত বক্তব্যে কমনওয়েলথের প্রধান চার্লস বলেছেন, জাতিগত ভিন্নতা ‘শক্তির উৎসে’ পরিণত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘এই অনিশ্চিত সময়ে, সকলেই এটা খুব সহজে বিশ্বাস করছে যে আমাদের ভিন্নতাগুলো শক্তির উৎস এবং শেখার সুযোগের পরিবর্তে সমস্যা, কমনওয়েলথ হচ্ছে উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর একটি জোট এবং যেখানে জনগণ সহায়তা এবং গুরুত্ব, বন্ধুত্বের চেতনায় একত্রিত হয়েছে।`
এর আগে শনিবার, ব্রিটিশ নেতা কেয়ার স্টারমার বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত দেশগুলোকে একটি দলে যোগদানের কথা বিবেচনা করছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা তথাকথিত ‘ইচ্ছুক জোটের’ অংশ হতে আগ্রহী প্রায় ২০টি দেশের সাথে আলোচনা করেছেন। কর্মকর্তারা দেশগুলোর নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানালেও দেশগুলো ‘প্রধানত ইউরোপীয় ও কমনওয়েলথ-এর অংশীদার’ বলে জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :