গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি তেল সমৃদ্ধ বিতর্কিত এসেকুইবো সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে কারাকাসের সাথে বিরোধের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছেন। তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের প্রত্যাশিত রায়কে সম্মান জানানোরও আহ্বান জানান। হিউস্টন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিটিই এসেকুইবোকে তাদের নিজস্ব বলে দাবি করে। এই মাসের শুরুতে ভেনিজুয়েলার একটি জাহাজের অনুপ্রবেশের নিন্দা জানায় গায়ানা। এতে করে উত্তেজনা তীব্রতর হয়। তবে ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনী জাহাজ অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করে এবং মাদুরো এই ব্যাপারে আলির সাথে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন।
টেক্সাসের হিউস্টনে সিরাউইক জ্বালানি সম্মেলনে আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশ যারা শান্তিতে বিশ্বাসী।’ ‘আমাদের অঞ্চলের শান্তি বজায় রাখা ও নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবকিছু করব।’ তিনি আরো বলেন, গায়ানা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত থেকে এই বিষয়ে রায় আশা করছে।
তিনি বলেন, আমরা আইসিজে’র রায়ের অপেক্ষায় আছি এবং আমরা আইসিজে’র রায়কে সম্মান করতে বলছি, আর সেটি হবে আইনের শাসনকে সম্মান করা।
ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্রতম দেশগুলোর অন্যতম গায়ানা। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ভেনিজুয়েলার সাথে বিতর্কিত প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এসেকুইবো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।
পেট্রোলিয়াম জায়ান্ট এক্সনমোবিল ২০১৫ সালে গায়ানায় বিশাল তেলের মজুদ আবিষ্কারের ফলে মাত্র ৮ লাখ জনসংখ্যার দেশ গায়ানা বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেলের মজুদ অর্জন করে, এর পর থেকে ছোট্ট সামরিক বাহিনীর এই দেশটিকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জর্জটাউন সরকার ২০২৪ সালের এপ্রিলে এক্সনমোবিলের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি অনুমোদন করায় উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।
এসেকুইবোতে ভেনিজুয়েলার নির্বাচন আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জর্জটাউন সম্প্রতি আইসিজে’র কাছে এর বিরুদ্ধে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছে। যদিও ভেনিজুয়েলা এই বিষয়ে আইসিজে’র এখতিয়ারকে স্বীকৃতি দেয় না।
সম্মেলনে, আলি তার দেশে বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করে বলেন, ‘আমি এখানকার সকল সিইও এবং বিনিয়োগকারীদের বলতে চাই যে গায়ানায় আমাদের গল্প তেল ও গ্যাসের চেয়ে অনেক বড়।’
তিনি বলেন, ‘তেল ও গ্যাস দেশে উন্নয়নের আরো অনেক সুযোগের একটি অনুঘটক। আমি চাই আপনারা গায়ানাকে আপনাদের রাডারে রাখুন।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :