মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১৫ মার্চ) হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
লোহিত সাগরে উত্তেজনার জেরে হামলা
সম্প্রতি ইসরায়েলের অবরোধের বিরুদ্ধে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলার হুমকি দেয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র এই বিমান হামলা চালায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের জাহাজ বা মিত্রদের ওপর হামলা হলে তার ভয়াবহ পরিণতি হবে।”
হুতিদের প্রতিক্রিয়া
হুতিদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুল-সালাম এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরের ঘটনা অতিরঞ্জিত করছে এবং ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।”
হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানায়, “এই আগ্রাসন ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সংহতি দুর্বল করতে পারবে না। বরং আমরা আরও প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি
আল জাজিরার তথ্যমতে, হামলায় প্রথমে ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পরে সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়ায়।
সাদা শহরে হামলায় ১০ জন নিহত, যাদের মধ্যে ৪ শিশু ও ১ নারী রয়েছে।
রাজধানী সানায় আরও ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
হামলায় একাধিক স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে, ফলে ইয়েমেনের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
নতুন করে হামলার আশঙ্কা
হুতিপন্থী সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহ জানায়, মার্কিন হামলার পর ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে পাল্টা আক্রমণ চালানো হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সহিংসতা কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে।
একুশে সংবাদ//আ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :