গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে হামাসের সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে এই ভয়াবহ হামলা চালানো হয়, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এই হতাহতের তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট প্রাণহানি ৪৮ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছেছিল। বুধবার দুপুরের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সোমবার রাত থেকে ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করে, যা গত জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলে উল্লেখ করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি ভবনে বুধবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক বিদেশি কর্মী নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্য গাজার গভর্নরেটের সদর দপ্তরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে আল-আকসা শহিদ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, কয়েক মাসের আলোচনার পর মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই চুক্তির আওতায় হামাস ৩৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, বিনিময়ে ইসরায়েল ২ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেয়।
যদিও দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল, তবে সোমবার রাতের হামলার পর সেই আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হামাস চুক্তির শর্ত অনুযায়ী গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা হোক।
হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ জানিয়েছেন, তারা এখনো চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করতে আগ্রহী এবং মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
একুশে সঙবাদ//আ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :