নাইজারে জিহাদি গোষ্ঠীর সাথে দুটি পৃথক সংঘর্ষে ১৩ সেনা নিহত হয়েছে।বুধবার সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে নিয়ামি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।সেনাবাহিনী এক অপারেশন বুলেটিনে জানিয়েছে, প্রথম ঘটনায় পশ্চিম তিলাবেরি অঞ্চলের একটি সোনার খনির স্থানে, ইসলামিক স্টেটের সহযোগীদের সাথে লড়াইয়ে নয় সৈন্য নিহত হন।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৫ মার্চের হামলায় প্রায় ১০০টি মোটরসাইকেলে করে বুরকিনা ফাসো সীমান্তের ওপার থেকে আসা আক্রমণকারিদের বিমান ও স্থল উভয় বাহিনীর অভিযানে প্রতিহত করা হয়। ওই অভিযানে ৫৫ জন জিহাদি নিহত হয়।
নাইজার পক্ষ জানায়, ওই ঘটনায় প্রতিবেশী দেশগুলো আক্রমণ দমনে বিমান ও স্থল অভিযানে সহযোগিতা করে। নাইজারের সাত সৈন্যও ঘটনায় আহত হয়।দুই দিন পর দেশের অপর প্রান্তে একটি সামরিক ফাঁড়িতে আরেক হামলায় ‘প্রায় ৩০০ জনের একটি দল’ হামলা করে, যাদের বোকো হারামের সদস্য বলে চিহ্নিত করা হয়।
সেনাবাহিনী জানায়, আক্রমণকারীরা যানবাহনে বুবি-ট্র্যাপ ও বিস্ফোরক ব্যবহার করে চার সৈন্যকে হত্যা করে।২০২৩ সালের জুলাই মাসে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক জান্তা স্থলবেষ্টিত নাইজারের ক্ষমতা দখল করে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং খনি ও তেল সম্পদ থেকে রাজস্ব সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
আন্তর্জাতিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা এসিএলইডি জানায়, সেখানে জঙ্গি কার্যকলাপের বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ, নাগরিক স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে গুরুতর আর্থ-সামাজিক পরিণতিসহ অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে।
জান্তা-নেতৃত্বাধীন মিত্র মালি ও বুরকিনা ফাসোর সাথে, নাইজার জিহাদি বিদ্রোহ, সংগঠিত অপরাধী দল এবং মানব পাচার নেটওয়ার্কসহ তাদের কার্যকলাপ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে ৫,০০০ সৈন্যের একটি যৌথ বাহিনী গঠন করছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :