দুই সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় সহিংস সংঘর্ষে প্রায় দেড় হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সকল নাগরিকের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির সরকারকে সতর্ক করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দামেস্ক সফরকে সামনে রেখে জার্মানির বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এক বিবৃতিতে বলেন, সহিংসতা সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশ্বাসকে দুর্বল করে দিয়েছে। তাদের অনেকেই (সিরীয়রা) ভীত যে, ‘ভবিষ্যতে সিরিয়ায় জীবনযাপন সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ হবে না। দুই সপ্তাহ আগে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা বিপুল পরিমাণে আস্থা হারিয়েছে।’
গত ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ত্যাগের পর ক্ষমতা গ্রহণকারী সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘নিজ গোষ্ঠী’র ওপর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বেয়ারবক। তিনি বলেন, ‘সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়াজুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা উচিত। আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এটিই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।’
বাশার আল-আসাদের পতনের পর গত ৬ মার্চ থেকে টানা কয়েকদিন সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার কবলে পড়ে।সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, নিরাপত্তা বাহিনী ও মিত্র গোষ্ঠীগুলো কমপক্ষে দেড় হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই আলাউইত সম্প্রদায়ের। সম্প্রদায়টি সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগত এবং তারা একই ধর্মীয় সংখ্যালঘু।
বেয়ারবক বলেছেন, তিনি তার আসন্ন সফরে সিরিয়ার সরকারকে বলবেন, ইউরোপ ও জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কের ‘নতুন সূচনা’ করতে হলে, ধর্ম, লিঙ্গ বা জাতিসত্তা নির্বিশেষে সমস্ত সিরিয়ানদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা দিতে হবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :