তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইস্তাম্বুল শহরের মেয়র একরাম ইমামোগ্লুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে তুরস্কের এই বৃহত্তম নগরীতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।বুধবার ইস্তাম্বুলের পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে শত শত বিক্ষোভকারী মেয়রের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা ওই দপ্তরে আটক মেয়রকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।ইস্তাম্বুল থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশ সদরদপ্তরে যাওয়ার সব সড়ক বন্ধ করে দেয়া সত্ত্বেও শত শত বিক্ষোভকারী সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে এবং জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। ইমামোগ্লুকে আটকের পর ইস্তাম্বুলের গভর্নরের দপ্তর নগরীতে সব ধরনের মিছিল, মিটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বিক্ষোভকারীরা ইস্তাম্বুলের মেয়রের আটকের ঘটনাকে গণতন্ত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন। তুরস্কের বিরোধীদল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি বা সিএইচপির নেতা ইমামোগ্লু আর মাত্র কয়েকদিন পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে ধারনা করা হচ্ছিল। তার আগেই তাকে আটক করা হলো।
ইমামোগ্লুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হতে পারে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তার সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রচণ্ড সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেছেন, সরকারের চাপের মুখে নতিস্বীকার করবেন না।
২০১৯ সালের নির্বাচনে ইমামোগ্লু ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ওই নগরীর ওপর ক্ষমতাসীন একে পার্টির একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। কিন্তু ইমামোগ্লুর বিজয়ের মধ্যদিয়ে ২৫ বছরের সে আধিপত্যের অবসান হয় এবং তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য সমূহ বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হন। সেই বিপদ যাতে ষোলকলায় পূর্ণ হতে না পারে সেজন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই মেয়রকে আগেভাগেই জেলখানায় পাঠানো হলো।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :