হিথ্রো বিমানবন্দরে বৈদ্যুতিক গোলযোগের পর সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিমানবন্দরটি প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ লাখ যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে হিথ্রো বন্ধ হওয়া রোধকল্পে কেন কার্যকর ব্যাক-আপ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লন্ডন থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট চলাচল। শুক্রবার বিমানবন্দরটি প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যদিও বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীদের কয়েকদিন বিমান চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানায়।
তবে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন, শনিবারের মধ্যে এটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।আগুনের উৎস তদন্তের জন্য এরইমধ্যে সন্ত্রাস দমন পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে।ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সাবেক প্রধান নির্বাহী উইলি ওয়ালশ হিথ্রোর বিরুদ্ধে বিকল্প বিদ্যুৎ উৎস নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় কিছু ফ্লাইট পুনরায় চালু হলেও দিনের বেশিরভাগ সময় বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকায় চরম ভ্রমণ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিশ্বব্যাপী অন্তত ২ লাখ মানুষ এতে চরম বিপাকে পড়েন।বিমান সংস্থাগুলো যখন বিমান এবং ক্রুদের ঘাঁটিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ হোটেলে ভিড় জমান।
হিথ্রোর একজন মুখপাত্র ই-মেইল করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিভ্রাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সহায়তা করার জন্য বিমানবন্দর জুড়ে দলগুলো কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টার্মিনালে আরও শত শত সহকর্মী রয়েছেন এবং বিমানবন্দর দিয়ে অতিরিক্ত ১০,০০০ যাত্রী যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা আজকের সময়সূচীতে বিকল্প ফ্লাইট যুক্ত করেছি।’ প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী হিথ্রো দিয়ে যাতায়াত করেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :