মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন অর্থনৈতিক রাষ্ট্রনীতি ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফস’ চালু করেছেন। এই নীতির আওতায় বিশেষভাবে সেই দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে, যারা ভেনেজুয়েলা থেকে তেল আমদানি করছে। ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো ভেনেজুয়েলার তেল বাণিজ্য সীমিত করা।—ব্লুমবার্গ
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টের মাধ্যমে এই হুমকি প্রকাশ করেন এবং পরে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, যদি কোনও দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে তেল বা গ্যাস কিনে, তবে সেই দেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে ২৫ শতাংশ ট্যারিফ পরিশোধ করতে হতে পারে। কারণ ভেনেজুয়েলা ইতোমধ্যেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভেনেজুয়েলাকে চাপ দেয়া। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভেনেজুয়েলা দশ হাজারেরও বেশি উচ্চ পর্যায়ের এবং অন্যান্য অপরাধী` মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।
এই নতুন ধারণাটি ট্রাম্পের বিদেশি ও আভ্যন্তরীণ নীতির লক্ষ্য অর্জনে অর্থনৈতিক শক্তিকে লিভারেজ হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত নতুন অস্ত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো। বিশেষ করে, লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা সঙ্গে অভিবাসন এবং বৈদেশিক নীতি নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিউস্টনের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসির লাতিন আমেরিকান এনার্জি পলিসির পরিচালক ফ্রান্সিসকো মনালদি এই পদক্ষেপটিকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধের একটি নতুন ধারণা` হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে, এটি কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :