ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি প্রদর্শন করল ইরান। হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র বোঝাই নতুন ঘাঁটিটিকে ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’ বলছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।আঞ্চলিক উত্তেজনা ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার হুমকির মধ্যে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স ঘাঁটিটি উন্মোচন করে।
এদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশটির অস্ত্র কর্মসূচির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সামরিক নেতা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরি ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের অ্যারোস্পেস ফোর্স কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহকে একটি সামরিক গাড়িতে করে একটি দীর্ঘ অস্ত্র-ভর্তি সুড়ঙ্গের মধ্যদিয়ে টহল দিতে দেখা যায়।
৮৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর মধ্যদিয়ে ইরানি সামরিক নেতারা যেন বলতে চাইছেন, যেকোনো আক্রমণ ঠেকানোর ক্ষমতা ইরানের আছে, এমনকি পাল্টা হামলা চালানোর সক্ষমতাও আছে।
ঘাঁটিতে খায়বার শেকান, কদর-এইচএস, সিজ্জিল, ইমাদ ও হাজ কাসেমের মতো হাজার হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি পাভেহ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল রয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে ইসরাইলের ওপর আক্রমণে ইরান এই অস্ত্রগুলোর বেশ কয়েকটি ব্যবহার করেছিল।
চলতি বছর উন্মোচিত ইরানের চতুর্থ ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এটা। তবে দেশটির দাবি, তাদের এমন শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি রয়েছে। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স একটি ভূগর্ভস্থ ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’ উন্মোচন করে।
এর সপ্তাহ খানেক পর গত ১৮ জানুয়ারি আইআরজিসি নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরের একটি অজ্ঞাত স্থানে ভূগর্ভস্থ একটি নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি প্রদর্শন করে। এর তিন সপ্তাহের মাথায় ১ ফেব্রুয়ারি আরও একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন করে আইআরজিসির নৌবাহিনী।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :