মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, তুরস্কের ‘অস্থিতিশীলতা’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তুরস্কের সরকার বিক্ষোভ দমনে যখন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন রুবিও এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন।
তিনি একই সাথে বলেছেন যে, ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সাথে কাজ করতে চায় আমেরিকা।
মিয়ামি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
রুবিও বলেছেন, আমরা নজর রাখছি। আমরা বিক্ষোভ দমনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।সুরিনাম থেকে মিয়ামি যাওয়ার পথে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এমন কোনো দেশের শাসন ব্যবস্থায় এমন অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না যারা ঘনিষ্ঠ মিত্র।
রুবিও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এরদোগানের সাথে খুব ভালো কর্ম সম্পর্ক ছিল। আশা করি তারা এটি পুনরায় চালু করতে চাইবে।
তিনি বলেন, তারা ন্যাটোর মিত্র। আমরা সিরিয়া এবং অন্যান্য স্থানে তাদের সাথে সহযোগিতা করতে চাই।
রুবিও মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সাথে সাক্ষাত করেছেন।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পরে এক বিবৃতিতে জানায় যে, ইস্তাম্বুলের মেয়রের গ্রেপ্তারের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ কীভাবে পরিচালনা করা হয়েছে তা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যদিও তুরস্ক এই ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে নেয়নি।
রুবিও সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন, ফিদানের সাথে তার সাক্ষাতে তিনি এই বিষয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এরদোয়ানের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের বিষয়ে তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য শুনেছেন। তবে বিরোধীদের এই দাবি সম্পর্কেও তিনি অবগত আছেন এবং বলেছেন, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবিসি’র এক সংবাদদাতাকে বহিষ্কার এবং এক এএফপি রিপোর্টারের গ্রেপ্তারসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন সম্পর্কে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি রুবিও।
তিনি বলেন, এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা নেই।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :