লেবানন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লেবাননকে দায়ী করে বলেছেন, ইসরায়েলের গ্যালিল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা হুমকির জন্য কঠোর জবাব দেয়া হবে। খবর আরব নিউজের।
তিনি আরও জানান, লেবানন থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি বাধা দিয়েছেন তারা এবং এর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানানোর অঙ্গীকার করেছেন। এ ছাড়া গ্যালিলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এদিন তাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি লেবাননের অভ্যন্তরে অবতরণ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত লেবানন সরকার বা হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের অভিযোগে শনিবার দক্ষিণ লেবাননে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় অন্তত আটজন নিহত হন। যদিও ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি বাধা দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
এরপর ইরান সমর্থিন সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ওই রকেট ছোড়ার দায় অস্বীকার করেছিল। গোষ্ঠীটি জানায়, এটি উৎক্ষেপণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে সম্মত হওয়া একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে। চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের অস্ত্র সরাতে, ইসরায়েলি স্থল বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে এবং লেবাননের সেনাবাহিনীকে এলাকায় মোতায়েন করতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ।
যুদ্ধবিরতিটি লেবাননে স্থল অভিযানের পাশাপাশি ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শর্তগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :