ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৮ জন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়। বার্তাসংস্থা আনাদোলুও তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বোমাবর্ষণের পর অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সীমিত সরঞ্জাম ও বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
চলমান এই মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয় যখন গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।
এর আগে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতি আংশিকভাবে কার্যকর থাকলেও মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তা ভেঙে যায়। হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের অজুহাতে ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের ফলে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া ভূখণ্ডটির অন্তত ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের এই আক্রমণকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (ICJ) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলছে।
একুশে সংবাদ//ঢ.প//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :