ইয়েমেনের রাস ঈসা তেল বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ জনে। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫০ জন। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সবচেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গভীর রাতে চালানো এই হামলার বিষয়ে হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসাবাহি জানান, হতাহতদের বেশিরভাগই ছিলেন সাধারণ শ্রমিক ও ট্রাকচালক, যারা হামলার সময় বন্দরে কাজ করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) দাবি করেছে, হুতি বিদ্রোহীদের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ এবং তেল বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
আলজাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-আত্তাব সানা থেকে জানান, “রাস ঈসা তেল বন্দরটি ইয়েমেনের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামলার সময় শ্রমিকরা সেখানে নিয়মিত কাজ করছিলেন। প্রথম দফায় চারটি বোমা হামলা চালানো হয়, যা পুরো এলাকাকে কাঁপিয়ে দেয়।”
তিনি আরও জানান, “এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ বেসামরিক নাগরিক। ফলে ইয়েমেনজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।”
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনের রপ্তানির প্রায় ৭০ শতাংশ এবং মানবিক সহায়তার ৮০ শতাংশ আসে রাস ঈসা, হোদেইদা এবং আস-সালিফ বন্দর দিয়ে। এ বন্দরগুলোতে হামলার ফলে দেশের মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ// চ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :