কাশ্মীরের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই পাকিস্তানকে চীন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর হাতে এখন রয়েছে চীনের তৈরি ‘পিএল-১৫’ নামের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, যা তাদের যুদ্ধক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়না (AVIC) তৈরি করেছে পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র। রাডার নিয়ন্ত্রিত এই ক্ষেপণাস্ত্র ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং শব্দের গতির পাঁচ গুণেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিমান বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে কিছু যুদ্ধবিমানের ছবি প্রকাশ করে, যেখানে চীনা ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান দেখা যায়। এই জেটগুলো চীন-পাকিস্তান যৌথভাবে তৈরি করেছে এবং বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অন্যতম ভরসা।
এই পরিস্থিতিকে উপমহাদেশে কৌশলগত ভারসাম্যের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের এমন সামরিক সহায়তা ইসলামাবাদকে আকাশ প্রতিরক্ষায় আরও শক্তিশালী করবে। ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ভারতের যুদ্ধবিমানের অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে ইউরোপীয় প্রযুক্তির ‘মিটিওর’ ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিয়ন্ড-ভিস্যুয়াল-রেঞ্জ (BVR) সক্ষমতায় পরিচিত। অনেক সময়ই পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রকে মিটিওরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের সামরিক আধুনিকীকরণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। ফলে ভারতের জন্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা এবং আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :