পাখিরা গান করে কেন? উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করে কেন? এটাই কি তাদের যোগাযোগের ভাষা?
অনেক পাখি প্রজাতির মধ্যে শুধু পুরুষ পাখিরাই গান গাইতে পারে। স্ত্রী পাখিদের স্বরই তৈরি হয় না। আবার পুরুষ পাখিরাও ১২ মাস আপনার জন্য গান গেয়ে বেড়াবে, এমনটা ভাবার কারণ নেই।
প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী পাখিদের আকর্ষণ করার মধ্যেই পুরুষ পাখিদের সংগীতচর্চা বা ডাকাডাকি সীমাবদ্ধ। যে পুরুষ পাখির কণ্ঠ যত সুরেলা, সে তত বেশি আকর্ষণীয় তার স্ত্রী পাখিদের কাছে। স্ত্রী পাখিরাও কম যায় না। সঙ্গী নির্বাচনে তারা বেশ খুঁতখুঁতে। স্ত্রী পাখির মন বোঝাও দায়। একেক পাখির একেক রকম চাহিদা।
কোনো কোনো স্ত্রী পাখির কেবল সুরেলা গান শুনে মন ভরে না। তাদের চাই সুউচ্চ কণ্ঠে গান! যে পুরুষ পাখিটি যত জোরে গান গাইতে পারবে, তার সম্ভাবনা তত বেশি। ছোট ডানাওয়ালা প্রিনা পাখির কথাই ধরুন। মাত্র ৯ দশমিক ৪ গ্রাম ওজন নিয়ে সে নাকি কাকের চেয়েও ১০ গুণ জোরে ডাকতে পারে।
কোনো কোনো পাখি হাজারের বেশিসংখ্যক সুরে গান বাঁধতে পারে। আবার আমাদের পরিচিত চড়ুইয়ের কেবল এক রকম গানই জানা আছে। সুরবাহার বা বীণা পাখি খুব জটিল স্বরলিপিতে গান গায়।
পুরুষ ফিঞ্চ পাখিরা ভালো গান গাওয়ার জন্য ৫০ দিন পর্যন্ত গানের চর্চা করে স্ত্রী পাখির সামনে গান পরিবেশন করে! পাখির ক্ষেত্রেও সিঙ্গেল থেকে ডাবল হওয়া অত সোজা নয়! অনেক যাচাই-বাছাই আর কঠোর সংগীত সাধনার পর তৈরি হয় এক জোড়া পাখির সফল জুটি।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :