‘সুখী থাকার টনিক’ হলো চুমু
প্রিয় কোনো বস্তু বা ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা, মমতা, শ্রদ্ধা, অভিনন্দন, বন্ধুত্ব ও শুভকামনা প্রকাশের আদিমতম মাধ্যম চুমু। সংস্কৃতিভেদে চুমুর ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশভঙ্গি রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে- চুমু খেলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিঃসরণের মাত্রা কমে যায় ও অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে- যা মানুষের সুস্বাস্থ্য ও সুখ বয়ে আনে।
চুমু খেলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আমাদের মুখের ভেতরে প্রায় ৭০০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। চুমু খেলে যে লালা বিনিময় হয়, তাতে শরীর পরিচিত হয় নতুন ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন বিষয়ে আমরা অস্থিরতা বা উদ্বেগে ভুগি। এই অস্থিরতা কমাতে টনিকের মতো কাজ করে চুমু। একটি প্রশান্তিদায়ক চুমু আপনার মনকে তো শান্ত করবেই, সেইসঙ্গে দূর করবে মানসিক চাপও। শরীরে স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমাতে কাজ করে চুমু। ফলে কমে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ।
চুমু খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে। আপনি যখন চুমু খাবেন তখন আপনার হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে রক্তনালিগুলো প্রসারিত হবে এবং বৃদ্ধি পাবে রক্তপ্রবাহ। যে কারণে কমবে রক্তচাপ।
শরীরে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ বাড়লে মন বেশি প্রফুল্ল থাকে। এই হরমোনের নিঃসরণ বাড়াতে কাজ করে চুমু। চুমু খেলে আমাদের মস্তিষ্ক ডোপামিন, অক্সিটোসিন, এবং সেরোটোনিনের মতো রাসায়নিক নির্গত করে। এর ফলে মন আনন্দিত থাকে।
চুমু খেলে শরীরের ক্যালোরি ঝরাতে কাজ করে। আপনি কতটা আবেগ নিয়ে চুমু খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে প্রতি মিনিটে ২-২৬ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরতে পারে। বৃদ্ধি পায় বিপাক হার। সেইসঙ্গে আপনার মনকেও রাখবে শান্ত।
আপনি যখন ভালোবেসে চুমু খান তখন এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার নাম অক্সিটোসিন। একে ‘লাভ হরমোন’ও বলা হয়। অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সিটোসিন নামক এই হরমোন পরস্পরের প্রতি আস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এতে দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বেশি মজবুত হয়।
একুশে সংবাদ/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :