জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) চট্টগ্রাম জেলার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৩ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ মে) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার তুলশীপাড়ার মৃত আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার প্রকাশ ফুয়াদ (২৬), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন (২৪) ও কর্ণফুলী থানার ইছানগরের আব্দুল গণির ছেলে মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকন (৩৫)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে জেএমবির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার এরশাদ হোসেন মামুনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় জেএমবি চট্টগ্রামের কমান্ডার এরশাদ হোসাইন প্রকাশ মামুনসহ চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে ২৩ মার্চ নগরের আকবরশাহ থানার এনআর স্টিলমিলের সামনে ওয়াসিমের ভাড়া ঘর থেকে জেএমবির গোপন বৈঠক চলছিল। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বইসহ এরশাদকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় আকবর শাহ থানার এসআই শহিদের রহমান বাদী হয়ে এরশাদকে আসামি করে ও দু-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধিত ২০১৩) ও বিস্ফোরক উপাদানাবলী (সংশোধন) আইন ২০০২ ধারায় মামলা করেন।
২০১৫ সালের শেষের দিকে নগরের কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া ভিন্ন তিনটি মামলায় বুলবুল আহমেদ সরকার, মো. সুজন ও মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তিনজনকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :