১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় বাহিনীর কিছু সদস্য। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মারা যান ৭৪ জন। এ মামলায় হাইকোর্ট ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ২৮৫ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় আরও ২২৮ জনের। দেশের বিচারিক ইতিহাসে আসামির দিক দিয়ে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা।
এ মামলায় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেয় কবে নাগাদ শুরু হবে আপিল বিভাগের শুনানি। মামলায় হাইকোর্টে খালাস পেয়েছে এমন ২০ জনের আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর নিম্ন আদালতে খালাস হয়েছিলো কিন্তু হাইকোর্টে এসে সাজা বেড়েছে এমন আসামিদের মধ্যে আপিল করেন ৩৪ জন। এদের সবাইকে সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সারসংক্ষেপ জমা না দেয়ার কারণে শুনানি শুরু করা যাচ্ছেনা।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপিল গুলো এখনও বিচারাধীন রয়েছে। আসামিদের সবাইকে সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলা হলেও তারা এখন সেগুলো জমা দেননি। আপিল বিভাগ তাদেরকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।
এ মামলায় আপিল বিভাগের নির্দেশের পরও যারা সারসংক্ষেপ জমা দেবেনা তাদের আবেদন খারিজ হয়ে সাজা বহাল হয়ে যাবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।
বিডিআর বিদ্রোহে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের আরেকটি মামলায় ১৪ বছরে মাত্র ২৫৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.স.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :