ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামী মারুফকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্ত্রী উর্মি আক্তারকে (২৭) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল।
ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার আদালতে সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার উর্মি তার পরকীয়ার জেরে প্রেমিক ইমরানকে সঙ্গে করে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন।
উর্মির সঙ্গে ইমরানের দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারা গোপনে বিয়ে করার চেষ্টা করেন। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান উর্মির স্বামী মারুফ। আর এই বাধা সরিয়ে ফেলতে উর্মি ও ইমরান মিলে মারুফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এই পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২১ মে রাতে মারুফকে কৌশলে বাইরে ডেকে নিয়ে মদপান করান ইমরান। ওইদিন রাত ২টার দিকে ঘরে ফেরেন মারুফ। এসময় মারুফকে উর্মি জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করান। এতে মারুফ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে উর্মি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মারুফকে হত্যার জন্য তার প্রেমিক ইমরানকে খবর দেন।
পরদিন সকাল ৬টার দিকে ইমরান এসে মারুফের ঘরে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর উর্মি ও ইমরান মিলে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হাতুড়ি দিয়ে মারুফের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে মারুফ ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে উর্মি ও ইমরান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।
এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত মারুফের পরিবার বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় উর্মি ও ইমরানের হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ভিত্তিতে পুলিশ উর্মি ও ইমরানকে গ্রেফতার করে। পরে উর্মি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এ ঘটনা জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উর্মিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উর্মিকে গ্রেফতার করে।
একুশে সংবাদ/স.চ.প/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :