ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষ্যগ্রহণ ঘিরে শ্রম আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিচারক বিচারকাজ পরিচালনা না করে এজলাস থেকে নেমে যান।
বুধবার ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ৭ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে হাজির হন ড. ইউনূস।
ওই দিন অর্থপাচার মামলা এবং দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার ব্যাপারে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীন টেলিকম সামাজিক ব্যবসার একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি ও শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলে বেকারত্ব দূর করা। এটাই স্যারের (ড. ইউনূস) থিওরি অনুযায়ী মূল্য উদ্দেশ্য। এতে বলা আছে, কেউ কোনো মুনাফা নেবে না, এই মুনাফা সমাজের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে এবং বেকারত্ব দূর করা হবে।
আইনজীবী আরও বলেন, সারা পৃথিবী তার (ড. ইউনূস) এই উদাহরণ গ্রহণ করেছে, আমেরিকাসহ পুরো ইউরোপ। কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় রয়েছে, যারা সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, সেটির মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের এই ধারায় একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এর মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আইনে। আর লেবার কোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এই কোম্পানিতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেখভাল করা।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক।
চলতি বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :