AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৮ জুলাই, ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
হোলি আর্টিজানে হামলা

হাইকোর্টে ৭ জঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ড


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:০২ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩
হাইকোর্টে ৭ জঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ড

রাজধানীর গুলশানের আলোচিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা মামলায় ৭ জনকে দেয়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ড রায় কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেন আদালত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত জঙ্গি হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ। তারা এখন কারাগারে আছেন।

মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর ১১ অক্টোবর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী আজ রায় দেওয়া হলো।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন একই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।

এ মামলার বিচার শুরুর সময় আট আসামির ছয়জন কারাগারে ছিলেন। বিচার চলাকালে বাকি দুজন গ্রেফতার হন। মোট ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় হলে আট আসামির সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন আদালত।

২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে আসে। এ সময় আসামিরা জেল আপিল ও আপিল আবেদন করেন। পরবর্তীকালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলায় পেপারবুক প্রস্তুত করা হলে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধান বিচারপতি ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গত মে মাসে রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শুরু করে।

সবশেষ গত ১১ অক্টোবর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। ওইদিন মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আরিফুল ইসলাম ও আমিমুল এহসান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাশ। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে আইনজীবী ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম।

একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা/এসআর

 

Link copied!