AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
ফারমার্স ব্যাংকের প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাত

ছেলেসহ সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল চিশতির ১২ বছর কারদণ্ড


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:৩৪ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩
ছেলেসহ সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল চিশতির ১২ বছর কারদণ্ড

ফারমার্স ব্যাংকের প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তার স্ত্রী রোজী চিশতি ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

এছাড়াও বাবুল চিশতি, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার দ্বিগুন ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে বাবুল চিশতি ও রাশেদুল চিশতিকে দুই বছর ও রোজি চিশতিকে এক বছরের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

তাদের সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মাসুদুর রহমান খানকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারও সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাশেদুল হক জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। তবে রোজি চিশতি ও মাসুদুর রহমান এদিন আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

রায় শেষে বাবুল চিশতি ও রাশেদুল হককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি বেলাল হোসেন এতথ্য জানান।

গত ৫ অক্টোবর দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।

প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিং এর মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।মামলাটিতে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।


একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!