রাজধানীর মুগদা থানায় আট বছর আগে দায়ের করা নাশকতা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, আমানউল্লাহ আমানসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসিফ ইকবালের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন আমানউল্লাহ আমান অসুস্থ থাকায় তাকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। এজন্য সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন মামলার অন্য আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল আদালতে হাজিরা দেন। মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে একজনের (বাদী) সাক্ষ্য সমাপ্ত হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রয়াত বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সাবেক বিএনপি নেতা শওকত মাহমুদ, শিরিন আক্তার।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ হরতাল চলাকালে রাজধানীর মুগদায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করে ঘটনার দিনই মুগদা থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই দেলোয়ার হোসেন। এতে ২৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পেনাল কোড আইনে অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে চার্জশিটে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার এসআই মো. সাইফুল আলম চৌধুরী।
চার্জশিটে নতুন করে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে অভিযুক্ত করা হয়।
এরপর ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসিফ ইকবাল।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :