সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পর বসবে না আপিল বিভাগ।
আজ সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনে মৃত্যুর বিষয়টি নজরে আনেন সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তিনি সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, অতীতে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের সম্মানে সেদিন কোর্ট বসেনি। এবারও তাই করা হোক। পরে প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের সঙ্গে উন্মুক্ত এজলাসে পরামর্শ করে আজ বেলা ১১টার পর আপিল বিভাগ না বসার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জানানো হবে পরে।
গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আজ (রোববার) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে।
মইনুল হোসেন ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপরে মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রচলন হলে, মইনুল তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগে যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক লীগেই ছিলেন।
সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মইনুল হোসেন। এছাড়া তিনি ২০০০-২০০১ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :