কোনো নাগরিক নিখোঁজ (মিসিং) হলে তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বগুড়ায় নিখোঁজ হওয়া দুই বিএনপি নেতার সন্ধান চেয়ে করা রিটের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। এক ঘণ্টাও মানুষের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান হারানোর ব্যথাটা কত কষ্টের তা পরিবারই জানে।
পরে আদালত নিখোঁজ বগুড়ার দুই বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন কোথায় কী অবস্থায় আছেন তা জানাতে নির্দেশ দেন। আগামী ৪ জানুয়ারি পুলিশের আইজিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম ও তাহমিনা পলি।
এর আগে গতকাল বগুড়ার কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক অনোয়ার হোসেন হৃদয় ও উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস রিট করে তাদের পরিবার। দুই বিএনপি নেতার পরিবারের পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ রিট দায়ের করেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, বগুড়ার কাহালু থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
পরিবারের দাবি, ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সেখানে বিকেল ৫টার দিকে আনোয়ার হোসেন হৃদয়কে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন তুলে নেয়। এরপর দুপচাঁচিয়া সদরে নিয়ে তার ফোন থেকে কল করে দেলোয়ার নামে আরেকজনকে ডেকে এনে তুলে নেওয়া হয়। এরপর থেকে দুজনের কোনো হদিস মিলছে না।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :