ঘাম ঝড়ানো শ্রমিকে ঠকানোর মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রায় পড়া চলছে। ৮৪ পৃষ্ঠা রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনাবে আদালত।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে হাজির হন তিনি।
এর আগে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায়ের জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় শুনানি, চলে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত। মাঝে এক ঘণ্টা দুপুরের খাবার এবং মাগরিবের নামাজের জন্য বিরতি দেয়া হয় ১৫ মিনিট। শ্রম আদালতে এত সময় ধরে কোনো মামলা শুনানির ঘটনা এটিই প্রথম।
এদিন ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
এদিন চলে দুপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের খেলা। ইতি টানেন ১১ কার্যদিবসের শুনানির, যা শুরু হয়েছিল ২১ নভেম্বর।
অধ্যাপক ইউনূসের আইনজীবীর দাবি, হয়রানির জন্যই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করে মামলা করা হয়েছে। খালাস চান ৪ আসামিরই।
অন্যদিকে ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা চেয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করেন কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের আইনজীবী। আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন নতুন বছরের প্রথম দিন।
গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :