প্রায় তিন যুগ আগে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার মামলার রায় আবার পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় আগামী ১৩ মার্চ রায়ের জন্য নতুন তারিখ রাখা হয়েছে বলে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ের তারিখ ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ২০ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছিলেন। মঙ্গলবারও রায় না হওয়ায় অপেক্ষা আরো বাড়ল।
সগিরার ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭১), জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৫), শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৬০), মারুফ রেজা (৬০) ও মন্টু মন্ডল ওরফে মিন্টু এ মামলার আসামি। তাদের মধ্যে আনাস মাহমুদ এবং মারুফ রেজা কারাগারে, অন্যরা জামিনে।
রায়ের জন্য কারাগারে থাকা আসামিদের এদিন আদালতে হাজির করা হয়, কিন্তু রায় পিছিয়ে যাওয়ায় তাদের আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আলোচিত মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সেদিন বলেন, আসামিদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হবে বলেই তারা আশা করছেন।
অন্যদিকে আসামিদের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, অভিযুক্তরা খালাস পাবেন বলেই তার বিশ্বাস।
আসামিপক্ষে আরও ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, এহসানুল হক সমাজী।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটরবাইকে আসা আততায়ীর গুলিতে নিহত হন সগিরা মোর্শেদ।
ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত হিসেবে মন্টু ও মারুফ রেজাকে শনাক্ত করলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বেইলি রোডের বাসিন্দা মারুফ রেজা একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি এরশাদ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে।
ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও শেষ পর্যন্ত তার নাম বাদ দিয়েই অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :