ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নারীর শিশুসন্তান মেহেদী হাসান ওরফে জায়েদকে তার মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
১৩ মে বিচারপতি এমআর হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও কোল থেকে ছিটকে পড়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে আছে দেড় বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান ওরফে জায়েদ। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
ফেসবুকে জায়েদের ছবি দেওয়া হয়। পরে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে শিশুটির কোনো আত্মীয়-স্বজনের সন্ধান পাওয়া না গেলেও দুই দিন পর ১২ মে স্বজনদের মাধ্যমে পরিচয় মিলেছে তাদের।
নিহতের বড় ভাই রবিন মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে মর্গে থাকা বোন জায়েদা খাতুনের (৩২) মরদেহ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভাগ্নে মেহেদী হাসানকে শনাক্ত করেন। জায়েদা খাতুন সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।
রোববার সকালে হাসপাতালের পরিচালকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিশুটিকে দেখতে ওয়ার্ডে যান। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক গোলাম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবে। প্রকৃত অভিভাবক পেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ভালুকা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, ৯ মে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় মা ও শিশুপুত্রকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একুশে সংবাদ/ ঢা.পো./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :