AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই, ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়: ড. ইউনূস


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:৫৩ পিএম, ২ জুন, ২০২৪
অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়: ড. ইউনূস

অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী ১২ জুন আদেশ দেবেন। মামলার শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, এটা আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা যে লোহার খাঁচার মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম আদালতের কাঠগড়ায়। এটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ। আমরা নোবেল পুরস্কারের কথা সবাই জানি। দুটি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একটা ছিল আমার নামে, আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। দুটোরই সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা। কারও চেয়ে কোনোটা কম নয়। এটা যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে তাও না। দুটোই স্বাধীনভাবে দেওয়া হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনও নজির নেই, একজন নোবেল বিজয়ী আরেকজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদকে হাজির হয়েছে। এটা আমাদের কপালে হলো। এটা অভিশাপের একটা অংশ। যে অভিশাপ আমরা গ্রহণ করে যাচ্ছি। সে অভিশাপ এমনভাবে হয়েছে, একটা নোবেল বিজয়ী এবং এ নোবেল বিজয়ী হলো খুবই সম্পৃক্ত নোবেল বিজয়ী। এটা আমার বিরুদ্ধে এমনভাবে নিয়ে এলো খুব কঠিন ভাষায়, রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে।

তিনি বলেন, অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে অভিযোগগুলো করা হয়েছে। এবং যে অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এ ব্যাপারে আপনাদের জানিয়েছি ঘটনা কী ঘটেছিল। এ ঘটনার মধ্যে কোনও সত্যতা তো নাই, যে জিনিস দিয়ে দিয়েছিলাম সেটার জন্য আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, টাকা মেরে দিয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি। এ পর্যন্ত যত অভিযোগ এসেছে আমার এবং সহকর্মীদের বিরুদ্ধে, তা অভিশাপের একটা অংশ। এটা আমার কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমার বাবাকে আক্রমণ করেছে, ভাই-বোনদের আক্রমণ করেছে। এই যে সেটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ বলে গেলাম।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে এই নোবেলজয়ী বলেন, এ সময় কেন তাদের অভিশপ্ত জীবন বহন করতে হচ্ছে সেটা আপনারা জানুন এবং লিখুন। শুধু জানা নয়, কিছু লিখুন। সত্যতা, গুরুত্বটা, ভূমিকাটা কী? রিপোর্টিং বলতে শুধু শুনলাম, লিখলাম, এটা না। এর একটা ব্যাখ্যাও আছে। গভীরে যাওয়া, সবাইকে জানান দেওয়া, সেটাও একটা অংশ। সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এদিন মামলায় হাজিরা দিতে সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে আসেন ড. ইউনূস। অন্য আসামিরাও আদালতে হাজির হন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে মামলার শুনানি শুরু হয়। 
একুশে সংবাদ/বা.ট্রি/ এসএডি

Link copied!